গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ , হাতেনাতে পাকড়াও : গ্ৰেপ্তার বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী

18th August 2021 3:54 pm বাঁকুড়া
গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ , হাতেনাতে পাকড়াও : গ্ৰেপ্তার বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়িতে পড়াতে এসে চুরির অভিযোগ উঠলো এক গৃহ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের শাঁখারিবাজার এলাকার ঘটনা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রার্থণা কোলে নামে ঐ গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে।

সূত্রের খবর, হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা প্রার্থণা কোলে বছর দেড়েক আগে বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারী ইংরাজী মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার চাকরী নিয়ে এখানে আসেন। তারপর থেকেই তিনি ছিন্নমস্তা, দলমাদল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনাচক্রে গত তিন মাস আগে শাঁখারিবাজারের বাসিন্দা ও ঐ স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর গৃহশিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন।

ঐ ছাত্রীর মা পাপিয়া পাল বলেন, প্রার্থণা কোলে নামে ঐ শিক্ষিকা দুপুরে মেয়েকে পড়াতে আসতেন। প্রায় দিনই পোশাক পাল্টানো সহ নানান অছিলায় মেয়েকে বাড়ির বাইরে বের করে দরজা বন্ধ করে দিতেন। প্রথম দিকে বিষয়টি সেভাবে নজরে না এলেও পরে সন্দেহ হয়। তারা খেয়াল করে দেখেন ঐ ঘরে আলমারির ভেতরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, তার নোয়া ও ছেলের গলার চেন খোয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাঁর স্বামী বাড়ি এলে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে মঙ্গলবার ঐ শিক্ষিকাকে হাতে নাতে ধরা হয় ও থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে।

গ্রেফতারের খবর পেয়েই বিষ্ণুপুরে এসে পৌঁছেছেন ঐ গৃহশিক্ষিকার পরিবারের লোকজন। প্রার্থণা কোলের কাকা স্বপন কুমার কোলে বলেন, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী তার ভাইঝি এই ধরণের কাণ্ড করবে তারা বিশ্বাস করতে পারছেননা। খবর পেয়েই তারা এখানে এসেছেন। তবে এই ঘটনার পর তাদের সাথে ভাইঝি প্রার্থণার কোন কথা হয়নি বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা প্রার্থণা কোলেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।